ছাত্রলীগ থেকে আগাছা উপড়ে ফেলার ডাক প্রধানমন্ত্রীর
আগাছা উপড়ে ফেলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সংগঠন গড়তে, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। urgentPhoto
দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অতীত অবদান, গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য এবং সুনামের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির প্রত্যেক সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘আগাছাগুলো উপড়ে ফেলে দিয়ে যাতে করে ভালো গাছগুলো ভালোভাবে গড়ে উঠতে পারে, সেই পথটাই আমাদের বেছে নিতে হবে। ছাত্রলীগকে আমি সেটাই বলব। কাজেকর্মে কোনো আগাছা থাকলে সেগুলো তুলে ফেলে দিয়ে আদর্শবাদ, নীতিবান কর্মী হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার আদর্শের কর্মী হিসেবে, নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দুই ধরনের রাজনীতি রয়েছে। এক ধরনের যারা অর্থ উপার্জন করে বিলাসিতা করে এবং মর্যাদা ক্রয় করে, আরেক ধরনের যারা মানুষের সত্যিকার কল্যাণে রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ কল্যাণের পথেই রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িতদের কী পেলাম, না পেলাম — সে হিসাব না করে মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে নানা অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার হয়েছে। স্বাধীনতার নেত্রীত্ব দেওয়া সংগঠনটিকে ষড়যন্ত্র করে দেশের শত্রু বানিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫-পরবর্তী সংবিধান এবং সেনাবাহিনীর আইন লঙ্ঘন করে, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায়ন করাই ছিল জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য। খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেন।
এ ছাড়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করায় বেগম খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার একটা সুযোগ পাওয়া যায় এটাই বড় কথা। মানুষের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ। এই সুযোগ একটা মুহূর্তও নষ্ট করতে চাই না। যতক্ষণ জীবন আছে এ দেশের মানুষের জন্য করে যাই। যাতে মৃত্যুর পরে বলতে পারব যে, মানুষগুলোকে আব্বা আপনি সব থেকে ভালোবেসেছেন তাদের জন্য এইটুকু করতে পেরেছি। শুধু এইটুকু যেন বলতে পারি।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারের ওপর আঘাত নয়, এ দেশের স্বাধীনতা ও বাঙালির বিজয়কে নস্যাৎ করাই ছিল মূল লক্ষ্য।