বন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৩
নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার পর লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব নিহত ওই মাদ্রাসাছাত্রের দুই বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ মঙ্গলবার তাদের দেখানো তথ্য অনুযায়ী আলাইপুর এলাকায় আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশের একটি পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংক থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাদ্রাসাছাত্রের নাম মোহাম্মদ তানভীর (১১)। সে নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা হাফরাস্তা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তানভীর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ত।
র্যাব ৫-এর কোম্পানি কমান্ডার জামাল আল নাসের জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে তানভীরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তানভীরের বাবা সাইফুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। ২৬ আগস্ট সাইফুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং র্যাবকে বিষয়টি জানান।
জামাল আল নাসের আরো জানান, এর পরই তানভীরকে উদ্ধারে অভিযানে নামে র্যাব। আজ আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী বায়েজিদ ও হুসাইদকে আটক করে র্যাব। পরে তারা তানভীরকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তানভীরের লাশ উদ্ধার করে র্যাব। ওই দুজনের তথ্য অনুযায়ী নাঈম নামের আরো এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। তবে নাঈম ওই মাদ্রাসার ছাত্র নয়।
বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব আলম বলেন, আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী বায়েজিদ, হুসাইদ ও তাঁদের বহিরাগত বন্ধু নাঈম ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোহম্মদ তানভীরকে গত ২৫ আগস্ট রাতে তার কক্ষ থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ও খুর দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ মাদ্রাসার পাশের একটি পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। পরে তানভীরের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ভারতীয় টিভি সিরিয়াল দেখে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে তারা অনুপ্রাণিত হতে পারে বলে লে. কর্নেল মাহাবুব আলম জানান।