ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলেন শিক্ষক!
নরসিংদীতে এক গৃহশিক্ষক তাঁর নবম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে নরসিংদী শহরের ভেলানগরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর নাম রিয়া আক্তার (১৫)। সে শিবপুরের কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত।
রিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় বছর আগে রিয়ার গৃহশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মনোহরদী উপজেলার আগানগর গ্রামের আলমগীর মিয়া। তিনি নরসিংদী ল কলেজে লেখাপড়া করতেন। কিছুদিন আগে আলমগীর রিয়ার পরিবারের লোকজনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে রিয়ার বাবা পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দিতে আলমগীরকে পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে গতকাল রোববার রিয়ার বাবা-মা রিয়াকে বাড়িতে রেখে বেড়াতে যান। তাঁদের দুজনের অনুপস্থিতিতে রাত ১২টার দিকে রিয়ার ঘরে ঢোকেন শিক্ষক আলমগীর। এ সময় তিনি কৌশলে ঘর থেকে বের করে দেন রিয়ার নানি আক্তার বেগমকে। কিছুক্ষণ পরে ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আক্তার বেগম ঘরে ঢুকে রিয়াকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদীর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের দেওয়ান জানান, নিহত রিয়ার গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সন্দেহভাজন শিক্ষক আলমগীরকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রিয়ার বাবা রিয়াজুল হক খন্দকার কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাবা-মার পরের স্থান হলো শিক্ষকের। সেই শিক্ষক আমার ফুলের মতো নিষ্পাপ মেয়েটিকে নির্মমভাবে হত্যা করল। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষক এমনভাবে কোনো ছাত্রীকে হত্যা করার সাহস না পায়।’