সুন্দরবনে জলদস্যু সন্দেহে চারজন আটক
বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন সুন্দরবনের শাখা খাল এলাকা থেকে জলদস্যু বাহিনীর সদস্য সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শনিবার ভোরে র্যাব তাদেরকে গোলাবারুদসহ আটক করে পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করেছে।
র্যাব ৮-এর ডিএডি এ কে এম আবু হোসেন শাহরিয়ার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ বলেন, ‘র্যাব ৮-এর সদস্যরা গতকাল শুক্রবার বিকেলে পাথরঘাটা সংলগ্ন সুন্দরবনের শাখা খাল এলাকায় অভিযানকালে ছত্তার বাহিনীর সদস্য রুমি শেখকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত জলদস্যু জাকির বাহিনীর অন্য তিন সদস্যকে আটক করেন।’
আটককৃতরা হলেন- সুন্দরবনের জলদস্যু ছত্তার বাহিনীর সদস্য বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার নারিকেলতলা এলাকার আব্দুল গফফার শেখের ছেলে রুমি শেখ (২৮), জাকির বাহিনীর সদস্য রামপালের কাঁঠালী এলাকার ইউনুছ আকন্দের ছেলে এমাদুল আকন্দ (২৭), বড় কাঁঠালী এলাকার বাবুল খানের ছেলে ইমরান খান (২৮) ও মোংলা উপজেলার সোনাইতলা এলাকার আবু হাসান সরদারের ছেলে হাসমত আলী (৩৭)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক, ১০টি গুলি, একটি একনলা বন্দুক, ১২ বোর বন্দুকের চারটি কার্তুজসহ তিনটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলেও জানায় র্যাব।
বরিশাল র্যাব ৮-এর ডিএডি এ কে এম আবু হোসেন শাহরিয়ার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সংলগ্ন সুন্দরবনের শাখা খাল এলাকায় পৃথকভাবে জলদস্যুদের আস্তানায় অভিযানের সময় দুই বাহিনীর চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় অন্তত আরো পাঁচ থেকে সাতজন ‘জলদস্যু’ পালিয়ে যায়। চারজনকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির পৃথক চারটি মামলা করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দস্যুদের আটকের ব্যাপারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।