অজ্ঞান করতে গিয়ে ‘মেরেই ফেলল’ রোগীকে
মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পায়ের রগের অস্ত্রোপচারের সময় আবদুল মালেক (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের ভুলের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
নিহতের মেয়ে সোনিয়া জানান, তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামে। মাঠে কাজ করতে গিয়ে হাসুয়ায় তাঁর বাবা আবদুল মালেকের পায়ের রগ কেটে যায়। এরপর তাঁরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু এক দালালের খপ্পরে পড়ে তাঁর বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের তাহের ক্লিনিকে। সেখানে বিকেলে অস্ত্রোপচারে যান ক্লিনিকের মালিক ডা. মো. আবু তাহের সিদ্দিকী। কিন্তু রোগীর অজ্ঞানের সময় কোনো অবেদনবিদ (অ্যানেসথেসিস্ট) চিকিৎসক না নিয়ে তিনি নিজেই অজ্ঞান করেন। তারপর থেকে আবদুল মালেকের আর জ্ঞান ফেরেনি। অজ্ঞান করার প্রক্রিয়ায় ভুলের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তাহের ক্লিনিকের মালিক ডা. আবু তাহেরের স্ত্রী ডা. মেলিনা সুলতানা বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
রোগীর অজ্ঞানের বিষয়ে মেলিনা বলেন, জরুরি মুহূর্তে অজ্ঞানের ডাক্তার বাইরে থেকে নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলার সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম শামসুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।