অগ্রণী ব্যাংকের সোয়া ৩ কোটি টাকা লোপাট, ক্যাশিয়ার গ্রেপ্তার
অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখা থেকে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা লোপাটের মামলায় ক্যাশিয়ার মাহমুদুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত মেহেরপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অগ্রণী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে মাহমুদুল করিম ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন করিম, বড় ভাই সামিউল করিম, বোন নুরুন্নাহার ও চাচা কোমর আলীকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মাহমুদুল করিমের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখায় কর্মরত থাকার পর বামুন্দী শাখায় বদলি হন মাহমুদুল করিম। মেহেরপুর শাখায় কর্মরত থাকার সময় ব্যাংকের আন্তশাখা অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের চার সদস্যের নামে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা পাঠান। গত রোববার ব্যাংক কর্মকর্তাদের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ার পর রাতে মামলা হয়।
এ প্রসঙ্গে অগ্রণী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক মেহেদি মাসুদ বলেন, ‘আমি চার মাস আগে এ শাখায় যোগদান করার পর বিষয়টি জানতে পারি। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থ আন্তশাখা লেনদেনের মাধ্যমে মাহমুদুল করিম তাঁর পরিবারের সদস্যদের হিসাব নম্বরে পাঠান। পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হই। প্রাথমিকভাবে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা লোপাটের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে এ পরিমাণ বাড়তে পারে।’ তবে লোপাট হওয়া অর্থ ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের নয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার মাহমুদুল করিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।