গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীসহ তিনজনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
স্থগিত থাকা গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকসহ তিন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অন্য দুজন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হানিফ দেওয়ান ও বাসদের সাদেকুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তাঁরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
এর আগে ধানের শীষ প্রতীকে এ আসনে প্রার্থী ছিলেন ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। তিনি গত ২০ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ জানুয়ারি এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ আসনে বৈধ প্রার্থী ছিলেন আটজন। তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় প্রার্থী থাকল পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান তিতু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে আজ দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. সাদিক অভিযোগ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে এক তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তাই দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।
ডা. সাদিক আরো অভিযোগ করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের হানা, গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন ও গায়েবি মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।