রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসক ও নার্স পলাতক
ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে জেলা তথ্য কার্যালয়ের প্রধান সহকারীর স্ত্রী মারা গেছেন। জেলা তথ্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেছেন ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর স্ত্রী আরিফা খাতুন (৪৫) মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় রাত ৮টার দিকে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সরা পলাতক আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হারুন অর রশিদ জানান, পিত্তথলিতে পাথর হওয়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য আজ বিকেল ৩টার দিকে স্ত্রী আরিফা খাতুনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাম্মেল হকের ওই অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল।
হারুন অর রশিদ আরো জানান, ভর্তির পরই ক্লিনিকটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল হান্নান একটি ব্যবস্থাপত্র দেন। এরপর দুই নার্স রোগীর শরীরে স্যালাইন ও ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করেন। এর পরই আরিফার শরীর নীল হয়ে যেতে থাকে এবং এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘রোগী শরীরে প্রয়োগ করা ওষুধ জব্দ করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ওই হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সরা পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘হাসপাতালটিতে এর আগেও এভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
আরিফার মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ অন্য কর্মকর্তারা।