ইয়াবার রুট পাল্টেছে, পায়রা বন্দরে উদ্ধার ৫ লাখ
পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ পিস ইয়াবাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করছে কোস্টগার্ড। এ সময় ১৩ জিম্মি জেলেকেও উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কুয়াকাটা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে রাবনাবাদ চ্যানেলসংলগ্ন গভীর সাগর অঞ্চলে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক দুই ব্যক্তি হলেন কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মোশারেফ হোসেন ও মহিপুরের টিপু শিকদার।
কোস্টগার্ড জানায়, গত রোববার টেকনাফ থেকে এফবি মাসুম নামে ইঞ্জিনচালিত একটি মাছধরার ট্রলারে করে জব্দ হওয়া ওইসব ইয়াবা নিয়ে টিপুসহ মহিপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন মোশারেফ। পথে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হলে পাচারকারী চক্রের অন্য কিছু সদস্য এফবি আলাউদ্দিন নামে আরেকটি ট্রলারযোগে তাঁদের সাহায্যের উদ্দেশে যাত্রা করে।
তাঁরা হলেন ট্রলারের মালিক আল-আমিন, সোহরাব, জহির, বেল্লাল ও নিজাম। তাঁদের সবার বাড়ি মহিপুর থানার সদর ইউনিয়ন ও লতাচাপলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানায় কোস্টগার্ড।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পায়রা বন্দর কোস্টগার্ড, নিজামপুর ও ভোলা কন্টিজেন্স সে সময় ওই এলাকায় এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের মালিক আল-আমিনসহ সোহরাব, জহির, বেল্লাল ও নিজাম পালিয়ে যান। সে সময় পাঁচ লাখ পিস ইয়াবাসহ মোশারেফ ও টিপুকে আটক ও ১৩ জিম্মি জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড ভোলা জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাজিউর রহমান আজ বুধবার বলেন, ‘আপনারা জেনে থাকবেন, কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাকারবারি ও মাদকবিরোধী অভিযানে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি আমরা কক্সবাজার এবং টেকনাফে আমাদের টহল এবং অভিযান অত্যন্ত জোরদার করি। এতে চোরাকারবারি এবং মাদক পাচারকারীরা ওই সব রুটের বিকল্প হিসেবে অন্য পথে মাদক পাচারের প্রচেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের গোয়েন্দারা এসব বিকল্প রুটে নজরদারি বৃদ্ধি করে।’
‘গতকাল মঙ্গলবার আমরা গোয়েন্দা টিমের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলে অভিযান চালাই এবং পাঁচ লাখ ইয়াবা আটক করি। সে সময় দুটি কাঠের নৌকাসহ দুজন চোরাকারবারিকেও আটক করি এবং ১৩ জিম্মি জেলেকে উদ্ধার করি। জব্দ মালামাল, উদ্ধার করা জেলে ও আটক ব্যক্তিদের খুব শিগগির আমরা মহিপুর থানায় হস্তান্তর করব। কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্টগার্ড ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী,’ বলেন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।