সন্ধ্যায় একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, রাতে হত্যা!
সন্ধ্যাবেলাতেও দুই বন্ধু রাজু ও রাকিবকে এক সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখেছে এলাকাবাসী। এরপর রাতে রাজুর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় বেড়িবাঁধের ওপর। আর সকালে রক্তমাখা পোশাক পরা অবস্থায় রাকিবকে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। রাকিবকে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজুকে হত্যার কথা স্বীকারও করেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রাজুর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাকিবের (২০) সঙ্গে রাজুকে (২০) ঘুরতে দেখা যায়। পরে রাত ৯টার দিকে পায়রা নদ সংলগ্ন একটি বেড়িবাঁধের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজুর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বেরিবাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহী প্রথমে রাজুর লাশ দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে রাকিব গতকাল রাতে পশ্চিম বুড়িরচর গ্রামের স্থানীয় অধিবাসী শাহজাহান মিয়ার পরিত্যক্ত ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে তাঁর শরীর ও পোশাকে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুলিশ রাকিবকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রাকিব। এমনকি তাঁর পোশাকেও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। টাকাপয়সার লেনদেন সংক্রান্ত কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
নিহত রাজু বুড়িরচর ইউনিয়নের রিকশাচালক শাহজাহান মৃধার ছেলে। তিনি আমতলী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তবে দারিদ্র্যের কারণে কিছুদিন আগে একটি খাদ্যপণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রাজুর লাশ আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।