‘ফণী’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অনেকটাই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি ঝরছে। এই অবস্থা সারা দিনই অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আজ দুপুর ১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ‘ফণী’ যে ঢাকা ও এর আশপাশে অবস্থান করছিল সেটি আরো দুর্বল হয়ে দুপুর ১২টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
এর কিছু পরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি এরই মধ্যে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছি। তার পরিবর্তে সব বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের ওডিশা রাজ্যে ‘ফণী’র তাণ্ডব শুরু হয়। সেখানকার পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। সেখানে আটজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনে। মধ্যরাতের পর ভারতের এই রাজ্যে প্রবেশ করে ‘ফণী’। ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে এটি আঘাত হানে। পরে আরামবাগ, কাটোয়া, নদীয়া হয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
শামসুদ্দিন আহমদ আরো বলেন, উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ফণী যে দিকে অগ্রসর হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তারসঙ্গে ভারি বর্ষণও হতে পারে। রংপুরে, রাজশাহীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলেও ভারি বর্ষণ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিকেল ৪টার পর দেশের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।