সুনামগঞ্জে পাঁচটি বাঁধ ভাঙা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে ডিসির নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার পাঁচটি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে গেছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সারা দিন বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করে তেমন কোনো ফসল হানির খবর পাননি।
যদিও কৃষকেরা বলছেন, এখনো ২৯ জাতের ধান হাওরে রয়ে গেছে। কয়েকটি হাওরে এখনো ৩০ ভাগ ফসল কাটার বাকি আছে। কিন্তু হঠাৎ বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাঁরা।
এদিকে চার উপজেলার পাঁচটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পেছনে কেউ জড়িত আছেন কিনা এবং কী পরিমাণ কৃষকের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে। আর নতুন কোনো হাওরের বাঁধ ভেঙে যাবে না বা ভেঙে গেলেও ধানের কোনো ক্ষতি হবে না বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পেছনে কেউ জড়িত আছেন কি না এবং কোন হাওরে কতটুকু ধান ক্ষতি হয়েছে সেই বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিবেন তাঁরা।
এদিকে গতরাত থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরো হাওর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জামালগঞ্জ উপজেলার বেইলী ইউনিয়নের হালির হাওর ও শনির হাওরে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে। বেশিরভাগ কৃষক বলছেন, ওই হাওরে এখনো তাঁদের ৫০ ভাগ ফসল রয়ে গেছে।
একইভাবে তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর ও শনির হাওর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর এবং ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরেও পানি ঢুকছে।
কৃষকদের অভিযোগ, যেসব পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে, ওই বাঁধগুলোতে ভালো কাজ হয়নি। তবে রাতে বাঁধ উপচে পানি ঢুকলেও এখন চার উপজেলার ওই সব বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে।
রোববার সকালে বেইলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার বলেন, বেইলী ইউনিয়নের হালির হাওরে ৩৫ ভাগ ফসল কাটার বাকি আছে। আর আগে যে ধান কাটা হয়েছে, সেই ধানও হাওরের খলাতেই রয়ে গেছে। তাই বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ফসল হারানোর আশঙ্কায় আছেন বেশিরভাগ কৃষক।
বাঁধের কাজে মাটির বদলে বালু দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।