ঈদের যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ৬ জন নিহত
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বাস ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো সাতজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পাথারিয়া বাজারে গনিগঞ্জ এলাকায় বাস ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন লেগুনাচালক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার গাগলি গ্রামের মো. নোমান (২৪), একই উপজেলার দুর্বাকান্দা গ্রামের সাগর মিয়া (১৫), আফজাল মিয়া (১৬), মিলন মিয়া (১৮) ও শাল্লা উপজেলার মিকেশ চন্দ্র দাস (২২)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লিমন পরিবহনের বাসটি গতকাল রাতে ঢাকা থেকে ঈদের যাত্রী নিয়ে আজ ভোরে দিরাই আসে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে খালি বাসটি সকাল ৭টার দিকে আবার ঢাকার দিকে যাত্রা করে। অপরদিকে লেগুনাটি দিরাই-সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল।’
‘পথে উপজেলার পাথারিয়া বাজারের গনিগঞ্জ এলাকায় বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনা ও বাসটি উল্টে রাস্তার দুই পাশে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়’, যোগ করেন এসআই।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে হতাহতদের উদ্ধার করেন বলে জানান জেলা স্টেশন অফিসার মিল্টন দাশ। তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থলে এসে লেগুনা থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গনিগঞ্জ গ্রামের মো. আজাদ মিয়া (৫৫) গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি ছিটকে রাস্তার ডান পাশে এবং লেগুনাটি রাস্তার বামপাশে উল্টে পড়ে। লেগুনায় মোট ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বের করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়রাও হতাহতদের উদ্ধারে সহযোগিতা করেন।