ঝিনাইদহে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত
ঝিনাইদহে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় হামিদুর রহমান পাঠাগারের সামনে শহীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় সভায় মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশাফুর রহমান ও হামিদুর রহমানের ছোট ভাই বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান ১৯৪৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার চাপড়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম আক্কাচ আলী ও মা মরহুমা কায়ছুন নেছার সঙ্গে ১৯৪৭ সালে বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দখালিশপুর গ্রামে চলে আসেন। চরম দরিদ্রতা হামিদুরের পরিবারকে গ্রাস করে ফেলে। ছোটবেলা থেকে গ্রামের মানুষের বাড়িতে গরু-মহিশ চরিয়ে পেটের আহার জোগাড় করতে হয়েছে তাঁকে। পরে যোগ দেন তৎকালীন সেনাবাহিনীতে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার আগেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় তাঁকে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শত্রুপক্ষের গুলিতে ১৯৭১ সালে ২৮ অক্টোবর শাহাদাত বরণ করেন হামিদুর রহমান। ঘটনাস্থল থেকে সহযোদ্ধারা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় ৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাসা গ্রামে। সেখানেই দাফন করা হয় তাঁকে। অনেক লেখালেখির পর ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতীয় এই বীরের দেহাবশেষ উত্তোলন করে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হামিদুরকে নিয়ে জেলা পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করার খবর নেই। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা।