তাহিরপুরে প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
দ্বিতীয় দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা। এই উপজেলার এখনো ১০০-১৫০ গ্রাম বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে। সুনামগঞ্জ সদরের সঙ্গে আট দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে আছে। শুধু তাহিরপুর উপজেলারই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সোমবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার ও জিআরের চাল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল, চিড়া, ডাল, মুড়ি, বিস্কুট, নুডুলস, মোমবাতি ও ম্যাচ বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এমরান হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইমতিয়াজ, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোমতাছির হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন প্রমুখ।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, এবারের বন্যায় তাহিরপুরে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো এক থেকে দেড়শ পরিবার বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে। এই উপজেলার সঙ্গে সুনামগঞ্জ সদরসহ অনেক ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে আছে। একজন মানুষ যে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে সেই রাস্তাও নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, মানুষজন খুব কষ্টে আছে। খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তাই সবার কাছে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আরো বেশি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, সরকারের দেওয়া শুকনো খাবার, জিআর চাল ও টাকা আমাদের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে তুলে দিচ্ছে। আমি নিজেও উপজেলা ও জেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে ত্রাণ সহায়তা তুলে দিচ্ছি। আজ আমরা তাহিরপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহায়ত দিয়েছি। আমরা প্রতিদিনই আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন আরো ত্রাণ সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে।