মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মেলেনি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি কাফরুল থানা হতে আলামত হিসেবে জব্দ করা ৩৬ সেট প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্ন পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই করেন। কিন্তু জব্দ করা ৩৬ সেট প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন, ‘এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত অভিযোগও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল
নুরন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে দেশে বিদ্যমান সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা ছয় হাজার ৮৩৭টি। এই সংখ্যা দেশের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। এ জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে ১৩টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন বলে আরো জানান তিনি।
বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত দেশে অন্য কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা সুবিধা প্রদান করা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করে দেশেই সাধারণ মানুষকে উন্নততর চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ ২০১৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’-এর সভায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’