সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারই কিছু প্রমাণ গত কয়েকদিনের অভিযানে দেখা গেছে। এমন না যে তাঁরা (সরকারের) কেউ জড়িত নেই, সবাই জড়িত আছে। এখন তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। সুতরাং কারো নিস্তার নেই। জনগণের রোষের কাছ থেকে কেউ নিস্তার পাবে না।
আজ শনিবার সকালে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমান দেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) এসব কথা বলে নিজেদের দোষ ত্রুটি এড়িয়ে যেতে চায়। আজকের পত্রিকা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে আওয়ামী লীগ সরকার শুধু দুর্নীতি নয়, দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব কাঠামো ভেঙে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছে সরকার। যুবলীগ-ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তারা সবখানেই ভয়াবহ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দেশের জন্য জনগণের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ছাত্রদলের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আমাদের তরুণ দুজন মেধাবী ছাত্রনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রদলের এই নেতৃত্ব দেশনেত্রী মুক্তির আন্দোলন গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সহ দেশের মানুষের তাদের প্রতি দোয়া আছে এবং তাদের প্রতি সবার সেই বিশ্বাস আছে যে তাঁরাই আন্দোলনের সফল হবেন।
‘নতুন নেতৃত্ব দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্রদল তাঁর (খালেদা জিয়ার) মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরে যাবে না এই ছিল আজকে তাদের শপথ’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজীব হাসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল আহাসান, নব-নির্বাচিত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কয়েক হাজার ছাত্রদল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।