সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা : দ্বিতীয় দফায় বাবা ও দুই চাচা রিমান্ডে
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিন হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় তুহিনের বাবা ও দুই চাচার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ সোমবার বিকেলে দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মোল্লা সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্তি সিনহা তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরকে পাঁচ দিনের এবং তার চাচা জমসেদ ও আবদুল মছব্বিরকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্তি সিনহার আদালত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, তার চাচা জমসেদ ও আবদুল মছব্বিরকে প্রথম দফায় তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শুক্রবার বিকেলে তাদের রিমান্ড শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে আজ সোমবার বিকেলে শ্যাম কান্তি সিনহার আদালতে তাদের তিনজনকে হাজির করা হয়। শিশু তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরকে পাঁচ দিনের এবং তার চাচা জমসেদ ও আবদুল মছব্বিরকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল ও তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনসহ নয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় বাবা-চাচাসহ পাঁচজনের সম্পৃক্তরা পায় পুলিশ। পুলিশের দাবি অপর পক্ষকে ফাঁসাতে তুহিনের বাবা-চচারা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।