খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে মিছিল বের করা নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত আটটি সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ। আজ রোববার সকালে শহরের নারায়ণখাইয়া ও উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভানেত্রী নিরূপা চাকমা ও দপ্তর সম্পাদিকা দ্বিতীয়া চাকমা।
আটকদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীকাল সোমবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের আলটিমেটাম দিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ফিলিস্তিন সংহতি দিবস ও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে আটটি সংগঠনের কনভেনিং কমিটির ব্যানারে নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিছিলে বাধা দেন। এ নিয়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা শুরু করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মিছিলকারীরা বেশকিছু গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ভূইয়া বলেন, অনুমতি না থাকায় মিছিল করতে বাধা দিলে তারা অতর্কিত ইট ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, হামলা এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
অপরদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন চাকমা জানান, আটককৃতদের আজকের মধ্যে মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীকাল সোমবার জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। নিরাপত্তাবাহিনীর লাঠিপেটায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন লিটন চাকমা।