আত্মসমর্পণের চেয়ে যুদ্ধে পরাজিত হওয়া ভালো : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এ নির্বাচনটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জটা হলো গণতন্ত্র উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জটা হলো জনগণ তাঁর ভোট নিজের ইচ্ছায় দেবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নাসির উদ্দিনের প্রচারে অংশ নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ সরকারের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা বৃথা। আমি একভাগও বিশ্বাস করি না এ সরকারের অধীনে, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারপরও যদি প্রশ্ন করেন নির্বাচনে এলেন কেন? আমার কথা হলো আত্মসমর্পণের চেয়ে যুদ্ধে পরাজিত হওয়া ভালো।’
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তারাব পৌরসভার বর্তমান মেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ‘এ নির্বাচনে যদি জনগণ স্বেচ্ছায় আমাদের প্রত্যাখ্যান করে আমরা তা হাসিমুখে মেনে নেব। এবং এ জনগণ যদি ধিক্কার দিয়ে নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করে তবে তাও প্রধানমন্ত্রীকে মেনে নেওয়ার জন্য সে মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই অপরাপর নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা, সে অভিজ্ঞতার সঙ্গে আরো একটি নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হোক এটা আমরা আশা করি না। আমরা আশা করি না যে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না, ভোটারের ভোট পুলিশ দেবে, ভোটারের ভোট আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেবে এটা আমরা আশা করি না। এ নির্বাচন কমিশন তাঁর যতটুকু ক্ষমতা আছে এতটুকু ক্ষমতা ও নিয়ম যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করে তাহলে অবশ্যই জনগণ তাদের ভোট নির্বিঘ্নে দিতে পারবেন।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেন প্রচারে নামতে না পারেন এর আগেই নির্বাচন কমিশন বিধি জারি করেছে, দলীয় প্রধানরা নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারবেন না। আমাদের নেত্রী যদি কেবল গাড়ি দিয়েও কোথাও যায়। এর পেছনে লাখ লাখ লোক হবে। এ ভয়েই এ আচরণবিধি। আমরা আচরণবিধি মেনে চলতে চাই। এ বিধিতে যদি নেত্রীর নামার সুযোগ থাকে তবে তিনি অবশ্যই নামবেন।’
এদিকে একই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হাসিনা গাজী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারকাজ শুরু করেছেন। হাসিনা গাজী স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী।
এদিকে তারাব পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৭ নম্বর ওয়ার্ড), হোসেন আহমেদ রাজীব (২ নম্বর ওয়ার্ড), হাজি আশরাফুল ইসলাম (৬ নম্বর ওয়ার্ড) এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে লায়লা পারভীন ও আসমা বেগমের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।