নরসিংদী পৌরসভায় লোকমানকে নিয়ে রাজনীতি
লোকমান হোসেন খুন হওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে তাঁকে ঘিরে রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
একদিকে লোকমানের আদর্শ নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি এস এম কাইয়ুম, যিনি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র পদে দাঁড়ানোয় আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও লোকমানের ভাই কামরুজ্জামান কামরুল।
ভোটাররা বলছেন, এবার নরসিংদী পৌর নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের লড়াই হবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে। তাই ছাড় দিতে নারাজ একে অপরকে।
২০১১ সালের ১ নভেম্বর নরসিংদী পৌরসভার তৎকালীন মেয়র লোকমান হোসেনকে গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসীরা। এর পর তাঁর ছোট ভাই কামরুজ্জামান কামরুল মেয়র নির্বাচিত হন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুনরায় সুযোগ চেয়েছেন তিনি।
কামরুল বলেন, জনবন্ধু লোকমান হোসেনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজকে শেষ করার জন্য তিনি আবার সুযোগ চান।
এদিকে, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হটিয়ে বাসযোগ্য নরসিংদী বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম কাইয়ুম।
কাইয়ুম বলেন, ‘স্বর্ণপদক পাওয়া লোকমান যে গাড়িতে ঘুরতেন, সেই গাড়িতে এখন ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা ঘুরছে। এটা আমাদের অনেক পীড়া দেয়। আমাকে সুযোগ দিলে নরসিংদীকে বাসযোগ্য করে তুলব।’
এদিকে, বসে নেই বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সোহেল। নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত নরসিংদী উপহার দেবেন বলে জনিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া নরসিংদীকে যানজটমুক্ত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে ভোটাররা বলছেন, দল নয়, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হবে সুশিক্ষিত যোগ্য প্রার্থী দেখে।
এবার নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে ৮৭ হাজার ২৩ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৩৭৮, নারী ভোটার ৪৩ হাজার ৬৪৫ জন।