নওগাঁয় ইউপি প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা গুলি
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বিশা ইউনিয়নে গতকাল শুক্রবার রাতে এক সমর্থকদের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে থানা পুলিশের দাবি, গুলি করার কোনো ঘটনা ঘটেনি, অভিযুক্তরা মাতলামি করছিল। বিশা ইউনিয়নের এক মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে মাদক মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এক বর্ধিত সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সেই আলোকে শুক্রবার রাতে ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোল্লার পক্ষে একটি মহড়া বের করা হয়। মহড়া শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার বৈঠাখালী বাজার এলাকায় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। এ সময় অপর এক প্রার্থীর পক্ষের কিছু সমর্থক আত্রাই উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেলযোগে সেখানে যান। এর কিছুক্ষণ পরই মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সোহেল রানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে গুলি সোহেল রানার গায়ে লাগেনি। গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান। স্থানীয় এলাকাবাসী কয়েকজনকে ধরে রেখে পুলিশে খবরে দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাচুপুর গ্রামের রঞ্জিত দাস (৪০), সাহেবগঞ্জ মোল্লাপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেন বাবু (৪০), একই গ্রামের মহিদুল ইসলাম (৪০), সাহেবগঞ্জ পালপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ (৩৫), ইসলামগাথী গ্রামের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও বিশা ইউনিয়নে মনোনয়নপ্রত্যাশী আজিজুর রহমান (৪৫), ভরতেতুলিয়া গ্রামের রহিদুল ইসলাম (৩৯) ও একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাককে (৩৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আত্রাই উপজেলার হাটকালু পাড়া ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় ভাঙচুর ও হট্টগোলের কারণে বর্ধিত সভা স্থগিত হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল মান্নান মোল্লা বলেন, লোকজন না থাকলে হয়তো তাঁকেই হত্যা করা হতো।
বিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, বৈঠাখালী বাজারে তাঁদের আলাপ চলাকালে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে রাব্বী এসে তাঁকে ডেকে নেয় এবং রিভলভার বের করে গুলি করে। তিনি রাব্বিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ায় গুলি গায়ে লাগেনি।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বলেন, গুলি করার কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তাঁরা নেশা করে মাতলামি করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আজিজুর রহমানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে মাদক মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ মো. ইসরাফিল আলম বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।