পুলিশ বলল সালাহ উদ্দিনের ‘খবর ভিত্তিহীন’
গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধানে তল্লাশি শেষে ফিরে আসছে পুলিশ। ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার ‘খবর ভিত্তিহীন’ ।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় চরের লোকজন ওই এলাকায় বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের লাশ পড়ে আছে, এমন একটি খবর জানায়। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশের একটি দল ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট থেকে ট্রলারে করে চরে অভিযান শুরু করে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।
মশিউর রহমান এই খবরকে ‘গুজব’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন। তবে খবরটি কে বা কারা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করেন।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলাম রাত ১২টার দিকে জানান, ‘তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি পুলিশ। দুর্গম ওই এলাকা থেকে পুলিশের তল্লাশি দলটি ফিরে আসছে।’
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, সন্ধান পাওয়ার খবর পেয়ে ফুলছড়ি থানার দুর্গম চরাঞ্চলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খাটিয়ামারীতে অভিযানে অংশ নেওয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো খোঁজ পেলে আপনাদের জানাব।’
১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গুলশান ও উত্তরা পশ্চিম থানায় যান তাঁর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। তবে কোনো থানাই তাঁর জিডি গ্রহণ করেনি।
আজ সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করারও আবেদন জানান।
১২ মার্চ হাসিনা আহমেদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ এপ্রিল।