লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনায়াতুল্লাহর ছেলে শাকিল আহম্মেদ, আকবর,  বাছেদ,  ইউসুফ আবদার, আমির হোসেন,  জাহেদুল,  লালমিয়া। । তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় থাকা একজনকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সংঘর্ষের পর থেকে সানিয়াজান এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  গতকাল দুপুরের দিকে উপজেলার সানিয়াজন ইউনিয়নের নয়ার বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল গফুর তাঁর সমর্থকদের নিয়ে আনারস প্রতীকের প্রচার শুরু করেন। এ সময় সেখানে অতর্কিত হামলা চালান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল হাশেম তালুকদারের সমর্থকরা। এতে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় অন্তত আটজন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল গফুর বলেন, ‘আমার শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাশেম তালুকদার তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নিজেই হামলা চালিয়েছেন।’ 
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাশেম তালুকদার বলেন, ‘আবদুল গফুরের সঙ্গে শুধু কথাকাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু তার সমর্থকরাই উল্টো আমার লোকজনের ওপর হামলা চারিয়েছে।’ 

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’