স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ড, শিশু হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন
নেত্রকোনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড এবং শিশু হত্যার দায়ে বাবাসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দুটি পৃথক মামলায় আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হামিদের আদালত ওই রায় দেন।
এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার পাহারপুর গ্রামে ছুফিয়া বেগমকে (৩৫) হত্যার ১৪ বছর পর স্বামী নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আরেক মামলায় দুর্গাপুর উপজেলার বান্দ ঊষাণ গ্রামের ৯ মাসের শিশু সমতাকে হত্যার ১৮ বছর পর তার বাবা ইমাম হোসেন (৬০) ও সহযোগী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার রংসিংপুর গ্রামের লাল মিয়া ওরফে লালু মিয়াকে (৬৫) যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় দেওয়ার সময় ইমাম হোসেন ও লাল মিয়া উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি নুরুল ইসলাম পলাতক আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এপিপি সুভাষ বণিক অজয় জানান, দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০০০ সালের ২০ জুলাই গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ছুফিয়াকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় ছুফিয়ার ভাই উপজেলার বড় কালিয়ান গ্রামের আব্দুর রশিদ কেন্দুয়া থানায় নুরুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অন্য মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জানান, ১৯৯৬ সালের ১৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে শ্বশুরসহ পরিবারের অন্যদের ফাঁসাতে ইমাম হোসেন তাঁর সহযোগী লাল মিয়াকে নিয়ে নিজের ৯ মাসের শিশু সমতাকে হত্যা করেন। পরে একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মাস্টার ২২ জুন পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। একই বছরের ৭ আগস্ট পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।