নরসিংদীতে জাল ভোট, কেন্দ্র দখলকে ঘিরে সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনিয়ন পরিষদ চতুর্থ দফা নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া ও কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনাও ঘটেছে। এতে টোটাবিদ্ধ হয়ে ২০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট গ্রহণ চলছিল। তবে বেলা ১০টার দিকে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগ শুরু হয়। উপজেলার মির্জাপুর ও শ্রীনগরের কয়েকটি কেন্দ্রে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। আবার শ্রীনগর ইউনিয়নের রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে টোটাবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন আহত হয়। এর মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের ঝারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমন (২৬) নামের এক ভোটার গুরুতর আহত হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় তাঁকে রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা পাঠানো হয়। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে সরকারদলীয় প্রার্থী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নীলক্ষা ইউনিয়নের হরিপুর কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ওঠে। জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ দফায় রায়পুরা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ২৩টিতে নির্বাচন হচ্ছে। আইনি জটিলতার কারণে চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে কোনো প্রার্থী না থাকায় রায়পুরার রাধানগর ও চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সাদেক ও খোরশেদ আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ ছাড়া বাকি পদগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রায়পুরা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩২ হাজার ৩৭৫ জন। এর মধ্যে ২১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন ৪৯ জন প্রার্থী। ২৩টি ইউনিয়নের ২০৭টি সাধারণ সদস্য পদে লড়ছেন ৬৬৮ প্রার্থী এবং ৬৯টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে লড়াই করছেন ২৬১ জন প্রার্থী।