নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় আরিফ হোসেন পাঠান নামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বরইতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আরিফের মৃত্যুর খবরে এলাকার লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে অন্তত ২৫টি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আরিফ হোসেন শিবপুরের পুটিয়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর দেড়টার দিকে ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন থার্মেক্স গ্রুপ থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। বরইতলা মোড়ে পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেল দিয়ে এসে দুর্বৃত্তরা আরিফকে লক্ষ্য করে মাথায় গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আরিফকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আরিফের ভাই রোমান পাঠান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আরিফকে হত্যা করা হয়েছে। তিন-চার বছর ধরেই এ বিরোধ চলছিল।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নরসিংদীর শিবপুরে এলাকার আধিপত্য, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানার জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য আরিফের সাথে স্থানীয় টিটু পাঠান, আলফাজ ও মোস্তফাদের বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে পাঁচ মাস আগে আরিফের সমর্থকরা টিটু পাঠানের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এদিকে মহাসড়ক অবরোধ করার দুই ঘণ্টা পর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামাল হোসেন, শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আশ্রাফ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আরিফ হত্যাকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দেন। এরপর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে এলাকার মানুষ।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই আরিফকে হত্যা করা হয়েছে।’