রুটি খেয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় আটার রুটি খেয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন পাঁচজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাদামিয়া গ্রামের এ ঘটনায় আটা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাদামিয়া গ্রামের আবুল কালাম গত রাতে একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মুদির দোকান থেকে আটা কিনে আনেন। আজ সকালে সেই আটা দিয়ে তৈরি রুটি খাওয়ার পর পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালামের মেয়ে নাজমা (২০), তার বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় খলিল মিয়ার মেয়ে দিলরুবা (১০) ও তার বোন শহীদ মিয়ার মেয়ে বীথি (৮) মারা যায়। পরে আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ আবুল কালামের মেয়ে আসমা (২২), সালমা (১০), শাশুড়ি হাজেরা (৫০), ছেলের বউ রুমা (২২) ও তার বড় বোন আম্বিয়ার (৫০) চিকিৎসা চলছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. হানিফ মোহাম্মদ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি পাঁচজন আশঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালামের আত্মীয় মোহাম্মদ আলম জানান, উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদামিয়া গ্রামের আবুল কালাম ও তাঁর স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। তাঁর তিন মেয়ে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা গ্রামেই থাকেন। বুধবার কালামের শাশুড়ি সমেলা ও আম্বিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালুকা থেকে ত্রিশালে বেড়াতে আসেন। সকালের নাশতার জন্য বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের সাইফুল ইসলামের দোকান থেকে আটা কিনে আনা হয়।
ত্রিশাল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, দোকানদার সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।