সেই রুটিতে ‘বিষ মেশানো’ ছিল
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় আটার রুটি খেয়ে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক জানিয়েছেন, সেই রুটিতে বিষ মেশানো ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটার রুটির নাশতা খাওয়ার পর উপজেলার বাদামিয়া গ্রামে চারজনের মৃত্যু হয়। এ সময় অসুস্থ হয়েছেন আরো চারজন। এ ঘটনায় আটা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল কালাম স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন। পাঁচদিন আগে তিনি বাড়িতে এলে একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মুদি দোকান থেকে আটা কিনে আনেন।এরপর গত মঙ্গলবার তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঢাকায় চলে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে সেই আটা দিয়ে তৈরি রুটি খাওয়ার পর বাড়িতে আসা আত্মীয়সহ পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অবস্থায় আটজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে আবুল কালামের মেয়ে নাজমা (২০), তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় খলিল মিয়ার মেয়ে দিলরুবা (১০) ও বীথি (৮) মারা যায়। বিকেল ৪টার দিকে মারা যান আবুল কালামের শাশুড়ি হাজেরা বেগম (৫০)।
হাসপাতালে ভর্তি বাকিরা হলেন আবুল কালামের মেয়ে আসমা (২২), সালমা (১০), ছেলের বউ রুমা (২২) ও আবুল কালামের বড় বোন আম্বিয়া (৫০)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক হানিফ মোহাম্মদ বলেন, ‘বিষ মেশানো আটা খেয়ে এই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজন এখন আশঙ্কামুক্ত।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালামের আত্মীয় মোহাম্মদ আলম জানান, উপজেলার মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদামিয়া গ্রামের আবুল কালাম ও তাঁর স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। তাঁর তিন মেয়ে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা গ্রামেই থাকেন। বুধবার কালামের শাশুড়ি হাজেরা বেগম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালুকা থেকে ত্রিশালে বেড়াতে আসেন। আজ সকালে নাশতা খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন সবাই।
ত্রিশাল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় দোকানি সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।