ফরম পূরণের টাকা বৃদ্ধি, এডওয়ার্ড কলেজে ভাঙচুর
পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ফরম পূরণের টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তাঁরা মানববন্ধন করেন এবং একপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান, মিজান, মনি ও কাউসার এনটিভি অনলাইনকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ১৭টি বিভাগের ফরম পূরণ চলছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি বিভাগে ফরম পূরণের খরচ দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে সাত হাজার ৩০০ টাকা, ব্যবস্থাপনা বিভাগে পাঁচ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে ছয় হাজার টাকা, গণিত বিভাগে পাঁচ হাজার ৪০০ টাকার পরিবর্তে ছয় হাজার ৬২৫ টাকা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগে চার হাজার ৭০০ টাকার পরিবর্তে ছয় হাজার করা হয়েছে, যা অনেকের পক্ষেই পরিশোধ করে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
এডওয়ার্ড কলেজের অধীনে ১৭টি বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষার ফরম পূরণ করবেন। এই অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের জানালা-দরজা ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা কলেজ গেটে পাবনা- ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় আধাঘণ্টা এই সড়ক অবরোধ থাকে। এ সময় রাস্তায় কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেননি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও কলেজের শিক্ষকরা সেখানে গিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেন এবং তাঁদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবদুল জব্বার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই হাজার ৪৫০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা কমিয়ে দুই হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।’
এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নাইদ মো. শামসুল হুদা বলেন, ‘ফরম পূরণের টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শুধু মসজিদ, কর্মচারী কল্যাণ খাতে ১১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছি মাত্র। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আরো ৫০ টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন ফরম পূরণে আর কোনো সমস্যা রইল না।’
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পরবর্তী করণীয় বিষয়ে তাঁরা আগামীকাল সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন এর চেয়ে বেশি বলা সম্ভব নয়।