নকল সরবরাহ, ছাত্রলীগের ২ নেতা-কর্মীর দণ্ড
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে নকল সরবরাহের সময় ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের জেল-জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন আজিমকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ছাত্রলীগকর্মী জিহাদ হোসেন সোহাগকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজিমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আজিম অনুমতি ছাড়াই লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নকল দেওয়া শুরু করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান নকলসহ তাঁকে হাতেনাতে আটক করেন।
অপরদিকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দ্বিতীয় তলায় পরীক্ষা চলার সময়ে ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ বিনা অনুমতিতে পরীক্ষার হলে ঢুকে এক পরীক্ষার্থীকে নকল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকেও আটক করে পুলিশ।
পরে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসায় প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজিমকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও সোহাগকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন।
সাজা ঘোষণার সময় জেলা প্রশাসক এ কে এম টিপু সুলতান, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়াসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, সাজা ঘোষণার পর ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় আনা হয়। এরপর আজিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। জরিমানা আদায় করে সোহাগকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।