এক মাসে একই কায়দায় তিন খুন
ঝিনাইদহ ও পাবনায় এক মাসেরও কম সময়ে একই কায়দায় তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
৭ জুন মঙ্গলবার, ১০ জুন শুক্রবার ও ১ জুলাই শুক্রবার তিনটি ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী (৬৫), সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস (৬২) ও পাবনার আশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে (৬২)।
ঝিনাইদহে পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা
গত ৭ জুন সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা ভাগাড় এলাকায় আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী (৬৫) নামের এক পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আনন্দ গোপালের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, অন্যান্য দিনের মতো নলডাঙ্গা এলাকার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন আনন্দ গোপাল। পথে মহিষাডাঙ্গা ভাগাড় এলাকায় মোটরসাইকেলে তিন দুর্বৃত্ত তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
পাবনায় সেবায়েতকে গলা কেটে হত্যা
১০ জুন পাবনায় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সেবাশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকেও (৬২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই দিন ভোর ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতালের গেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিত্যরঞ্জনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের আরুয়া কংশু এলাকায়। তিনি ৪০ বছর ধরে হেমায়েতপুরের শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমে সেবায়েত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হাসান জানান, ডায়াবেটিসের রোগী নিত্যরঞ্জন প্রতিদিন ভোরে হাঁটতেন। সেদিন ভোরেও হাঁটছিলেন। পাবনা মানসিক হাসপাতালের উত্তর গেটে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে ঘাড়ে-মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তদের এক কোপে মৃত্যু হয় নিত্যরঞ্জনের।
ঝিনাইদহে সেবায়েতকে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুরের রাধামদন মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোরে মঠের গেটে পূজার জন্য ফুল তুলছিলেন শ্যামানন্দ। এ সময় ডিসকভারি ব্র্যান্ডের ১০০ সিসির একটি লাল রঙের মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মঠের গেটের পাশে যায়। পরে তারা শ্যামানন্দকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় শ্যামানন্দকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।