পোশাকেই মেলে না পরিচয়
গায়ে লম্বা পাঞ্জাবি, পরনে পায়জামা। মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, চোখে চশমা। এর ওপর গায়ে জড়ানো ‘হাজি রুমাল’। প্রথম দেখাতেই মনে হবে, নিষ্পাপ পরহেজগার যুবক।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আসলে তিনি একজন গাঁজা পাচারকারী। সীমান্ত থেকে মাদক ব্যবসায়ীর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা-ফেনসিডিলের চালান পৌঁছে দেওয়াই তাঁর কাজ। আর তা অনেক দিন ধরেই তিনি করছেন। মূলত মাদক নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে অবাধে চলাফেরা করতেই তাঁর এই ‘লেবাস’।
নাম তাঁর রশিদুল ইসলাম (২৭)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী পশ্চিম বেজ গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চার কেজি ভারতীয় গাঁজা।
পুলিশ জানায়, কালীগঞ্জ-মহীপুর সড়কের সিরাজুলের মার্কেট এলাকা থেকে রশিদুলকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। তিনি গাঁজার প্যাকেটটি একটি কালো ব্যাগে ভরে ইজিবাইকে রংপুর যাচ্ছিলেন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে।
কালীগঞ্জ থানায় সকালে কথা হয় রশিদুলের সঙ্গে। এ সময় গাঁজা বহনের কথা স্বীকার করে রশিদুল জানান, তিন হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে তিনি গাঁজাগুলো নিয়ে হাতীবান্ধা থেকে রংপুরে জনৈক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।
‘আমি ব্যবসা করি না, আমি কামলা। রংপুরে পৌঁছে দিলে তিন হাজার ২০০ টাকা পাব- এই চুক্তিতে হাতীবান্ধার একজনের দেওয়া গাঁজাগুলো নিয়ে রংপুর যাচ্ছিলাম। এটাই আমার প্রথম’, যোগ করেন রশিদুল।
রশিদুল ক্লাস ফোর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। পোশাকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেননি তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ জানান, গ্রেপ্তারের পর রশিদুলের নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।