এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে বন্দুকযুদ্ধে দেওয়ার হুমকি
লালমনিরহাটের কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেছেন, গোলাম মোস্তফা নামের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তাঁদের বন্দুকযুদ্ধে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার আদিতমারী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যুবক।
‘কথামতো কাজ না করলে কয়েক যুবককে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে’ বলে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছর কালীগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এএসআই গোলাম মোস্তফাকে স্থানীয় লোকজন মদ্যপ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে গণপিটুনিও দিয়েছিল। সম্প্রতি তিনি লালমনিরহাটের আদালতে বদলি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে বদলি করা হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি)।
সংবাদ সম্মেলনে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের আবদুল হকসহ কয়েক যুবকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশরাফুজ্জামান রাজু।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আদিতমারী সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন মাদকের বড় বড় চালান আসত ভারত থেকে। আর এ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন এএসআই গোলাম মোস্তফা। ফলে এই প্রভাব কাজে লাগিয়ে একই উপজেলার মহিষাশহর এলাকার শ্যামল চন্দ্রকে বাড়ি থেকে তুলে এনে কয়েক মাদকদ্রব্যের মামলা করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরে শ্যামল জামিনে বের হয়ে আসেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আবদুল হকসহ কয়েক যুবককে এএসআই মোস্তফা সম্প্রতি নির্দেশ দেন, শ্যামলকে ধরে পিটুনি দিতে। কিন্তু তাঁরা এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এএসআই। আর এ জন্য ওই যুবকদের ‘ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন এএসআই মোস্তফা। আবদুল হক ও আশরাফুজ্জামান রাজু নিজেদের ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই গোলাম মোস্তফা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আবদুল হক মাদক ব্যবসায়ীদের হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন।’ আগামী শনিবার তিনি লালমনিরহাট ডিবিতে যোগদান করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলী খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোস্তফা নামের কেউ এখন পর্যন্ত ডিবি পুলিশে যোগদান করেননি। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’