ধর্ষণ মামলার আসামিকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার
ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ সাতটি মামলার আসামি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেব ছারোয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সাহেব ছারোয়ার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক কাজী জায়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা হয়। সেখানে উপস্থিত সব নেতার সিদ্ধান্তে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ সম্পদ উপার্জন করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোকাররম মিয়া বাবুকে জেলা আওয়ামী লীগ ও সব স্তরের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর আওয়ামী লীগের একসময়ের প্রভাবশালী নেতা মোকাররম মিয়া বাবু দলের নাম ব্যবহার করে বিগত ছয় বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও ছয়টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্প্রতি ১১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাবুকে বহিষ্কারের ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘মোকাররম মিয়া বাবু দীর্ঘ ছয় বছরে যেভাবে ফরিদপুরে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছেন তা ফরিদপুরের মানুষের মুখে মুখে। বাবুর অপকর্মের ফল জেলা আওয়ামী লীগ বহন করতে পারে না। তার কারণে আওয়ামী লীগের ইমেজ অনেক নষ্ট হয়েছে। তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করার অপরাধে তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাবুর প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের জন্য আমরা কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাব। কারণ বাবু ধর্ষণ চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার বাবুর নেই।’
সৈয়দ মাসুদ আরো বলেন, আজকের সভায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এস এম নুরুন্নবী, বিপুল ঘোষ, লোকমান হোসেন মৃধা, মাসুদুল হক মাসুদ, মাইনুদ্দীন আহিমেদ মানু, শওকত আলী জাহিদ, মনির হোসেন, মোকাররম বাবুর পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বদিউজ্জামান বাবুলসহ প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকে বাবুকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানান।