ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক মিজানুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের শহীদ মশিউর রহমান সড়কের পাগলা কানাই এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত মিজানুরের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাজ্জাদ আহম্মদ নামে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তিনি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত এবং শহরের আদর্শপাড়ার বাসিন্দা।
সাজ্জাদের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই সদর থানায় মামলা করেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ। তিনি জানান, হামলায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের প্রবীণ সদস্য বিমল সাহা, মোস্তফা মাজেদ, এম সাইফুল মাবুদ, নিজাম উদ্দীন জোয়ারদার, দেলোয়ার কবীর, আলাউদ্দীন আজাদ, আজাদ রহমান, এম রায়হান, আমিনুল ইসলাম লিটন, শিপলু জামান প্রমুখ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে মিজানুর রহমান তাঁর অসুস্থ মাকে স্থানীয় আল-ফালাহ হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পাগলা কানাই মোড়ে সাজ্জাদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত মিজানুরের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় মিজানুরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, জেলা জাসদের সভাপতি মুন্সী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ফজুলুর রহমান খুররম, সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক লিকু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিল আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক এম এন শাহজালালসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা মিজানুরকে দেখতে হাসপাতালে যান।
এ ছাড়া ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের বিচারের আশ্বাস দেন।