টাঙ্গাইলে নিহত দুই ‘জঙ্গি’র বাড়ির হদিস মেলেনি
টাঙ্গাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত দুই ‘জঙ্গি’ আতিকুর ও সাগরের রাজশাহীর বাড়ির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
আজ রোববার চারঘাট থানার পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)-এর সদস্যরা জঙ্গিদের বাড়ি খোঁজে অভিযান চালান।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্যাব ১২-এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীর পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে পাঠানো খুদেবার্তায় নিহত দুজনই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ঠিকানা অনুযায়ী তাদের দুজনের বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ও র্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানান।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, তাঁরা খবর পেয়ে উপজেলার নিমপাড়া ও ইউসুফপুর এলাকায় শনিবার রাত থেকেই খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। এর মধ্যে নিমপাড়া গ্রামে আতিকুর নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর ইউসুফপুরে সাগর নামে বেশ কজনকে পাওয়া গেলেও বাবা-মায়ের সঙ্গে নাম মেলেনি। এখানে যে কয়েকজন সাগরের খোঁজ তাঁরা পেয়েছেন, তারা সবাই পরিবারের সঙ্গেই থাকে। তাই ধারণা করা হচ্ছে নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে যেন না পারা যায়, সে জন্য জঙ্গিরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। তবুও তাদের পরিচয় বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।
র্যাব ৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম জানান, নিহত দুই জঙ্গি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখনো তাদের কোনো হদিস মেলেনি। তবে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কোনো তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
এর আগে শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জামাঠ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় ‘জঙ্গিরা’ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই ‘জঙ্গি’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। দুজনেরই আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে আতিকুরের বাবার নাম লতিফুর রহমান। তার বাড়ি চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামে ও সাগর একই উপজেলার ইউসুফপুরের জুনায়েদ হোসেনের ছেলে বলে জানিয়েছিল র্যাব।