সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী আসার পরই আইনগত প্রক্রিয়া : জনি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে পৌঁছার পরই আইনগত প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি।
urgentPhoto
আজ রোববার রাতেই ভারতের ভিসা পেয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে হাসিনা আহমেদ কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে রাতে অবস্থান করে আগামীকাল গোহাটি হয়ে শিলং পৌঁছানোর কথা রয়েছে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর।
এর আগে দুপুরে পুলিশি হেফাজতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিন আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করেন আব্দুল লতিফ জনি। পরে তিনি এনটিভির কাছে ফোনে সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা, সেখানে তাঁর চিকিৎসা ও আইনি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার বিষয়ে আব্দুল লতিফ জনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জেনেছি উনার স্বাস্থ্যগত উন্নতির ওপর নির্ভর করবে আদালতে তোলার বিষয়টি। ইমিগ্রেশন আইন না মানার কারণে বিচারক তাঁর সিদ্ধান্ত দেবেন। আগামীকাল (সোমবার) সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী আসছেন। উনি আসার পর স্থানীয় আইনজীবী নিয়োগ দেবেন। হাসিনা আহমেদ আসার পরই আইনগত দিকগুলো শুরু হবে। এ বিষয়ে আমরা কথা বলে লাভ নেই। সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রীই উনার লিগ্যাল অভিভাবক।’
জনি আরো জানান, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী এখানে আসার পর প্রথমে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী কথা বলবেন। তার পরই হয়তো আইনগত দিকগুলো নিয়ে কীভাবে কী করা যায় এ ব্যাপারে সালাহ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশনা নেবেন হাসিনা আহমেদ। আর স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে এখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শের বাইরে আর কিছু করার নেই। সালাহ উদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন, এখানে চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো করছেন। কোনো ত্রুটি নেই। সর্বোচ্চ লেভেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সিঙ্গাপুরে তিনি যে চিকিৎসা করিয়ে আসছিলেন সেটা হয়তো এখানে সম্ভব নয় বলে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন।’
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক বলেন, ‘আমি পৌনে ১২টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সাথে দেখা করেছি। আমার নির্ধারিত সময় ছিল ১০ মিনিট। উনি তখন নিজে থেকে বললেন, কোমড়ে ব্যথার জন্য গত রাতে তাঁর ঘুম হয়নি। উনার পায়ে পানি জমে গেছে, পা ফুলে গেছে। টিপ দিয়ে দেখালেন, পানি জমার ফলে পায়ে আঙ্গুল অনেকটা দেবে গেছে। যে জিনিসটা সবচেয়ে মারাত্মক সেটা হলো, উনি একটা কথা দুই-তিনবার করে বলেন। আমার মনে হয়েছে তিনি (সালাহ উদ্দিন) স্মৃতিভ্রমে ভুগছেন। উনি শারীরিকভাবে খুবই বিধ্বস্ত, মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত, শঙ্কিত, উৎকণ্ঠিত এবং ভীত-সন্ত্রস্ত্র।’
ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধারায় তার পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে।
এদিকে পুলিশের আইজি এ কে এম শহিদুল হক এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন সালাহ উদ্দিন ভারতীয় পুলিশের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১২ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেখানে।