ওয়াজ মাহফিলের পাশে মেয়েদের উত্ত্যক্ত, হামলা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করায় বখাটেদের মারধর করেছে স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর বখাটেরা এক স্বেচ্ছাসেবকের বাসায় হামলা চালিয়ে চারজনকে আহত করে।
গতকাল শুক্রবার রাতে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব ঈদগাহ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে গাড়াডোব গ্রামের ঈদগাহপাড়ায় স্থানীয় জনতা ক্লাব ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিতে বিকেল থেকেই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করতে থাকেন। পাশাপাশি ওয়াজ মাহফিলসংলগ্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম মালামাল বিক্রি করার জন্য অস্থায়ী দোকান সাজান।
এ রকমই একটি অস্থায়ী চুড়ি-মালার দোকানে স্থানীয় মেয়েরা কেনাকাটা করতে গেলে গাড়াডোব পুকুরপাড়ার সবুজসহ তার সহযোগীরা ওই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনা দেখতে পেয়ে তার প্রতিবাদ জানায়, মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবক নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গুলনাহার। তিনি জানান, মাহফিলের পাশে গাড়াডোব এলাকার বিপ্লব হোসেন ও নয়নের সঙ্গে সবুজের বির্তকের জের ধরে প্রথমে তারা সবুজকে মারধর করে। পরে সবুজ ও তার বাবা সাহাবুদ্দীন ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আহত নাসির উদ্দিন জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সবুজ তর্কে লিপ্ত হলে তাঁকেসহ তাঁর সহযোগীদের ধমক দিয়ে তিনি চলে যেতে বলেন। পরে সবুজ তার বাবাসহ লোকজন নিয়ে তাঁদের বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তাঁকে ও তাঁর মেয়েসহ চারজনকে আহত করে। বাড়িতে হামলার ঘটনায় অচেতন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী আলেয়া খাতুন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সবুজের দাবি, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ওয়াজ শুনতে যান। পাশে চুড়ি-মালার দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা বিপ্লব হোসেনের নিকটাত্মীয় এক স্কুলছাত্রীকে কে বা কারা বাজে মন্তব্য করে। তখন নাসির উদ্দিন ও বিপ্লব তাঁকে সন্দেহ করে বেধড়ক মারপিট করে।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।