চালক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, অটোরিকশা উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৬
চালককে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ছিনতাই করা অটোরিকশা উদ্ধার এবং হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪-এর অভিযানিক দল। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সভাকক্ষে অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অধিনায়ক জানান, সর্বশেষ তিনজনকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফুলবাড়ীয়ার শফিকুল ইসলাম (৪৫), ঈশ্বরগঞ্জের মো. ইসলাম উদ্দিন ফকির (৩০), মানিকগঞ্জের মো. আবুল কাশেম (৫২), মুক্তাগাছার মো. জালাল (৪৬), মো. কামাল হোসেন (২৮) ও মো. আব্দুছ ছত্তার (৩৮)।
অধিনায়ক আরও জানান, আসামি শফিক ও কাসেম মোল্লা হঠাৎ বড়লোক হওয়ার আশায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। এরপর তাঁরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি বেনামি সিম সংগ্রহ করেন। গত ২৭ মার্চ বিকেলে মুক্তাগাছা থেকে ইসলাম ও কাসেম চালক কামালকে ফোন দিয়ে তাঁর অটোরিকশা ভাড়া করে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি নিয়ে যান। পথিমধ্যে আসামিরা অপর আসামি শফিকুলকেও অটোরিকশায় উঠিয়ে নেন। পথে ইফতারের জন্য আনা জুসে নেশাজাতীয় ওষুধ মিশিয়ে কামালকে পান করালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে মৃত ভেবে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলায় রাস্তার পাশে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে সেটি প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। ২৮ মার্চ সকালে স্থানীয় লোকজন ঢাকা-জামালপুর মহাসড়কে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটে। পুলিশ মারফত সংবাদ পেয়ে কামালের ছোট ভাই নাজমুল তাঁর মরদেহ শনাক্ত এবং মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যমে র্যাবের আভিযানিক দল চালককে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার ও অটোরিকশা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।