পায়রার একটি ইউনিট চালু, জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
কয়লা সংকটে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের বৃহত্তম পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ রোববার (২৫ জুন) বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে আবার চালু হয়েছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, আপাতত দুটি ইউনিটের একটি চালু করা হলো। অপরটি চালু করতে আর কয়েকদিন সময় লাগবে।
রেজওয়ান ইকবাল বলেন, আজ সকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বয়লার স্টার্ট আপ করা হয়েছে। যে কারণে সকাল থেকেই চিমনি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। টারবাইনে কয়লা লোড দেওয়া শেষ হয়েছে বিকেল ৪টা নাগাদ। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে একটি ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। যা সরাসরি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
রেজওয়ান ইকবাল জানান, এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ হাজার মেট্রিকটন কয়লাবাহী হাজার অ্যাথেনা গত বৃহস্পতিবার রাতে পায়রা সমুদ্র বন্দরে নোঙর করে। পরের দিন শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে অ্যাথেনা মাদার ভেসেল থেকে কয়লা আনা হয় তাপ বিদ্যুকেন্দ্রে মূল জেটিতে। এরপর শনিবার দিনগত রাত আড়াইটায় মাদার ভেসেল অ্যাথেনা সরাসরি তাপবিদ্যু কেন্দ্রের মূলজেটিতে ভিড়ে। আধা ঘণ্টা পর রাত ৩টা থেকে সরাসরি কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে সেই কয়লা খালাস কার্যক্রম চলছিল।
রেজওয়ান ইকবাল বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলাম। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়েই বিকেল ৪টা ৫মিনিটে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পেরেছি।’
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, আগামী ৩০ জুন একটি কয়লাবাহীসহ ধাপে ধাপে আরও ১৬টি জাহাজ জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দর হয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসবে।
ডলার সংকটের কারণে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় দেখা দেয় কয়লা সংকট। ফলে গত ২৫ মে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক হাজার ৩২০ মেঘাওয়টের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বাবি মজুদ করা কয়লা দিয়ে অপর ইউনিটটি কিছুদিন চালানোর পর ৫ জুন সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বৃহত্তম পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের তিন বছরের মাথায় কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হলে গোটা দেশে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি লোডশেডিংয়েও প্রভাব পড়ে।