প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান
দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণায় সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি (তৈরি পোশাক) রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদক এবং অভ্যন্তরীণ মিষ্টি পানির মাছ চাষে পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ। এ ছাড়া দেশে উচ্চমানের ওষুধ, জেনেরিক ওষুধ, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, আসবাবপত্র, খেলনা ও ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। এসব পণ্য যুক্তরাজ্যে আমদানির অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাঁচ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।’ দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের উত্তম জায়গা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রো রেলের উদ্বোধন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশভিত্তিক আলাদা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।