বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান-কবিতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে না পেরে বোমা বিস্ফোরণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নিজের লেখা গান ও কবিতার সিডি ও পেনড্রাইভ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে চেয়েছিলেন হালিম রাজ। এসব গান ও কবিতা পাঠাতে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর জাদুঘরের আবুল কাশেম ওরফে কিশোর নামে একজন কর্মকর্তার সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেন।
এক বছর পার হলেও হালিমের লেখা গান ও কবিতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে পারেন না জাদুঘর কর্মকর্তা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৩ জুলাই) হালিম রাজ (২৬) ও আব্দুল হালিম (৩০) নিজেদের গায়ে আগুন দেওয়া ও ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে ককটেল বোমা সাদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরণের চেষ্টা করেন। একটি ককটেল সদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরণ হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হালিম রাজ ও আব্দুল হালিমকে আটক করে।
ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম রোববার (২৩ জুলাই) দিনগত রাতে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক হালিম রাজের বাড়ি ময়মনসিংহে। তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠ চুকিয়ে রাজ ঢাকায় আসেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা ও গান লিখতেন। তার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নিজের লেখা গান ও কবিতা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাবেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন লোকের শরণাপন্ন হন।
ওসি পারভেজ ইসলাম আরও বলেন, ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর জাদুঘরের আবুল কাশেম ওরফে কিশোর নামের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় হয় রাজের। কিশোর ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গান-কবিতা পাঠানোর জন্য। পরে ৩৫ হাজার টাকা দেন রাজ। এক বছর পার হলেও রাজের লেখা গান-কবিতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে না পৌঁছানোয় রাগে-ক্ষোভে নিজের গায়ে আগুন ও বোমা সদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরণের চেষ্টা করেন।
পারভেজ ইসলাম বলেন, বোমাসদৃশ্য বস্তু বানাতে তারা অনেকগুলো দিয়াশলাইয়ের বারুদ একসঙ্গে করেন। ৮-১০টা বানিয়ে রাজ ধানমণ্ডি-৩২ এ যায়। একটি বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ হালিম রাজসহ দুজনকে আটক করে।
আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে পারভেজ ইসলাম বলেন, থানায় এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বোমা শনাক্তের জন্য পুলিশের বোম ডিজপোজাল ইউনিট কাজ করছে।