ভৈরবে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার, যাত্রা বাতিল
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সানটিংয়ের সময় ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী আন্তনগর এগারো সিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি প্রায় ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ট্রেনটির যাত্রা বাতিল করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ রোবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনের হোম সিগন্যালের কাছে এই লাইনচ্যুতি ঘটে।
এরপর আখাউড়া থেকে একটি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি উদ্ধার করে।
ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে স্টেশনের ৩ নং প্লাটফর্মে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর এগারো সিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামে। এরপর কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরানোর সময় (সানটিং) ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে রেল লাইনের পাশে হেলে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, এ লাইনে ট্রেন আসার জন্য সীমানা নির্ধারণ (ক্রসচিহ্ন) সংবলিত একটি খুঁটি বসানো আছে। ট্রেনের চালক সেই খুঁটি ভেঙে ইঞ্জিনটিকে পরিত্যক্ত লাইনে নিয়ে এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেনটির চালক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি সিগন্যাল পেয়ে ইঞ্জিনটি ঘোরাতে আসি। কিন্তু লাইনের দুই পাশে ঘনআগাছা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কাছে এসে দেখি সামনে লাইন খারাপ। তখন জরুরি ব্রেকে চাপ দিই। কিন্তু ব্রেক কাজ না করে ইঞ্জিনটি এখানে এসে লাইনচ্যুত হয়।’
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের মাস্টার মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরানোর সময় লাইনচ্যু হয়। ঘটনার পরপর ইঞ্জিনটি উদ্ধারে স্টেশনের টেকনিশিয়ান টিম কাজ শুরু করে। কিন্তু তারা সফল না হওয়ায় দুপুরে আখাউড়া থেকে একটি রিলিফ ট্রেন আনা হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে ইঞ্জিনটি উদ্ধার হয়। ইঞ্জিন উদ্ধারে বিলম্ব হওয়ায় ট্রেনটির যাত্রা বাতিল করা হয়।