কান্তজিউ বিগ্রহ এখন নদীপথে রাজবাড়ীর উদ্দেশে
কান্তজিউ বিগ্রহ এখন নদীপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ীর উদ্দেশে। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির হতে পূজা-অর্চনা শেষে শ্রীশ্রী বিগ্রহ টেপা নদীর কান্তনগর ঘাটে নিয়ে আসে। লাখ লাখ ভক্ত অনুরাগীসহ দর্শনার্থী ভিড় করে ঢেপা নদীর পাড়ে। সেখান থেকে বিশাল নৌবহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিনাজপুর শহরের পুনর্ভবা নদীর সাধুঘাটের উদ্দেশে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদী পথে কান্তনগর ঘাট থেকে দিনাজপুর শহরের সাধুর ঘাটে কান্তজিউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানো হবে।
নৌকাযোগে দিনাজপুর আসার সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার ভক্ত নদীর দুই কূলে কান্তজিউ বিগ্রহকে দর্শন এবং বাড়ির বিভিন্ন ফল, দুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি শ্রীশ্রী কান্তজিউ বিগ্রহকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় নদীর দুই কূলে তৈরি হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যদের ভিড়। মনোবাসনা পূর্ণ, মঙ্গল ও পরিবারের সুখ-শান্তি কামনায় ভক্তদের এই আগমন ঘটে।
দিনাজপুর রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল প্রায় ৫৫০ বছর আগে। সেই বংশের রাজা প্রাণনাথ ১৭২২ সালে দিনাজপুর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দির নির্মাণ শুরু করেন।
এরপর ১৭৫২ সালে এই মন্দিরের কাজ শেষ করেন রাজা প্রাণনাথের পোষ্যপুত্র রামনাথ। সেই সময় থেকেই কান্তজিউ বিগ্রহ নয় মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং তিন মাস দিনাজপুর শহরে রাজবাড়িতে অবস্থান করে। জন্মাষ্টমীর একদিন আগে কান্তজিউ বিগ্রহ ধর্মীয় উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়।