বৃষ্টিতে রোপা আমনের বহু জমি প্লাবিত, ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের
নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পানির নিচে চলে যায় এ ফসল। দ্রুত পানি সরে না গেলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক।
কৃষিবিভাগ তথ্যমতে, নেত্রকোনা সদরে দুই হাজার ৪৭০ হেক্টর, পূর্বধলায় দুই হাজার ৩৬০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৪৫ হেক্টর, কলমাকান্দায় ১৮০ হেক্টর, মোহনগঞ্জে এক হাজার ২০০ হেক্টর, বারহাট্টায় ২১৫ হেক্টর, আটপাড়ায় এক হাজার হেক্টর, মদনে ৫০০ হেক্টর, খালিয়াজুরীতে ১২ হেক্টর ও কেন্দুয়ায় তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
বর্তমানে বৃষ্টির পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দ্রুত পানি নেমে না যাওয়ায় এবং পানির নিচে রোপা আমন ধানের চারা থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের এখনই হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘দ্রুত পানি নেমে গেলে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।’
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ধনু নদীর পানি খালিয়াজুড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার এক দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিজয়পুর পয়েন্টে বিপৎসীমার পাঁচ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ও দুর্গাপুরে দুই দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কংশ নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।