স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মিছিলে আ.লীগের হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) মাদারিগঞ্জ বাজারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হকের প্রচার মিছিলে হামলা হয়েছে। আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে মাদারীগঞ্জ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার জন্য নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী এনামুল হক। এ সময় ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বিকেল ৫টার দিকে মাদারীগঞ্জ বাজারের উত্তরপাশ থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এনামুল হকের নেতৃত্বে প্রচার মিছিল বের হয়। মিছিলটি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মাদারিগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় স্বতন্ত্রপ্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক একটি দোকানে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন।
পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, গনিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা শাহাদত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, আবু বাক্কার সিদ্দিক, এনামুল হক, আজাদ, মাসুদ রানা, মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগনেতা আতিক বাশার সবুজ, ছাত্রলীগনেতা নাইম ইসলাম ও হৃদয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গনিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগনেতা ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক। তারা স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হকের কর্মী হিসেবে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে ঘটনার পর প্রতিবাদ সমাবেশ করে এনামুল হক তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি তাঁর কর্মী সমর্থকদের সতর্ক থাকার নিদের্শ দেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।