জাতীয় নির্বাচন কয়েক দফায় করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে : টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন কয়েক দফায় করা যায় কিনা সে বিষয়ে ইসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আমাদের বলেছে, যদি পাঁচ দফায় নির্বাচন করা যায় এবং ইভিএম ব্যবহার করা যায় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
আজ রোববার (২ জুন) নির্বাচন ভবনে সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন, জবাবদিহিতা মূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা নির্বাচন কমিশনকে আমাদের বিশ্লেষণ করা কয়েকটি প্রতিবেদন দিয়েছি। এর মধ্যে একটি হলো সম্প্রতি শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আমরা যে পর্যবেক্ষণ করেছি সেই প্রতিবেদন। আরেকটি হলো নির্বাচনি হলফনামা, যেখানে প্রার্থীরা তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়, সেটি আমরা বিশ্লেষণ করা প্রতিবেদনটি তাদের দিয়েছি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা জানতে চেয়েছি সেটি যাচাই-বাছাই করার এখতিয়ার তাদের আছে কিনা। আরেকটি হলো গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, নির্বাচনি আইন প্রত্যেকটা অংশীজন যথাযথভাবে পালন করেছে কিনা। এটা নিয়ে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি, সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের বলেছে তারা একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি আমরাও সেটি চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য যেহেতু এক, সেহেতু আমরা আমাদের এই আলোচনা অব্যাহত রাখব।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব করেছি নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তন করা যায় কিনা, সে ক্ষেত্রে আমরা আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছি। ইসিও আমাদের সাথে একমত হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আরেকটি বিষয় হল গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সেটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে সেটা আমরাও মনে করি এবং সেটা আমাদের প্রতিবেদনেও আছে। তবে সেটা নিজেদের মধ্যে। সে ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশন আমাদের সাথে একমত। তারা বলেছে তাদের যথাসাধ্য তারা চেষ্টা করেছে। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দরকার ছিল সেটা ব্যার্থ হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। ২০০৮ যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল সেভাবে তো নির্বাচনের সম্ভাবনা আমরা আর দেখছি না কারণ আমাদের সংবিধানও সাপোর্ট করে না। কিন্তু, যেটা সম্ভব পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে সেই নির্বাচনকালীন সরকার, যার সমস্ত স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যমত্য পৌছাতে হবে।