ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা
আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গতকাল বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে কোরবানির পশুর প্রাপ্যতা ও পরিবহণ, বাজার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
ঈদুল আজহায উপলক্ষে মূল পদক্ষেপগুলো হলো—
কোরবানির পশু : এ বছর কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উদ্বৃত্তের কারণে ন্যায্যমূল্যে পশু পাওয়া যাবে বলে সভায় জোর দেওয়া হয়। ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ এই প্রাণিগুলোর প্রাপ্যতা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কৃত্রিম ঘাটতি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বাজার ও পরিবহণ : অননুমোদিত অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপন ঠেকাতে স্থানীয় সরকার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করছে। প্রতারণা রোধে ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবহণ যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঈদ যাত্রা : জালিয়াতি ও হয়রানি রোধসহ রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য মুখ্য সচিব রেলসচিবকে নির্দেশ দেন। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণের চাপ কমাতে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর মতো ব্যবসায়ীদের শ্রমিকদের ছুটি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ওভারলোডিং রোধ এবং জাহাজের ফিটনেস নিশ্চিত করতে নৌযানগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে অবশ্যই কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য নিষ্পত্তির নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে।
কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা : কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ভালোভাবে সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঈদের পর কমপক্ষে ১০ দিন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
পশুর হাট, পরিবহণ ও সার্বিক উৎসব নির্বিঘ্ন করতে ঈদুল আজহাকে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় করার লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।