শেরপুরে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি, নিহত ২
শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্টি হওয়া বন্যার পানি উঁচু জায়গা থেকে নামতে শুরু করেছে। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ার খলিলুর রহমান ও আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী নামক ষাটোর্ধ্ব দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
মূলত ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকেই উঁচু জায়গাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করে। ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই নেমে যায়। নালিতাবাড়ী এলাকার উঁচু জায়গা থেকেও শনিবার সকালের মধ্যে পানি নেমে গিয়েছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার বন্যার পানিতে ডুবে নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ার খলিলুর রহমান ও আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী নামক ষাটোর্ধ্ব দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরেকজনের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয়রা জানালেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে উঁচু জায়গা থেকে পানি নেমে যাওযার ফলে নিম্নাঞ্চলে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরফলে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৪০টির মতো গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই দুই উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে উঁচু জায়গায় নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান এনটিভিকে মুঠোফোনে জানান, শনিবার থেকে সেনাবাহিনীর চারটি স্পিডবোট উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রায় চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার ও তাদের সহায়তা প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭শ হেক্টর আমন ধান সম্পূর্ণ পানি নিচে তলিয়ে গেছে। দুই থেকে চারদিনের মধ্যে পানি না নেমে গেলে এসব ধান নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও বন্যায় শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।